প্রতিনিধি 25 September 2025 , 5:55:35 প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার::
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর শাখার অবহেলায় প্রায় ১১ লাখ টাকার অফিস সরঞ্জাম তিন মাস ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘Supply of Office Equipments for the University of Barishal, Package No-02’ শিরোনামে সরঞ্জাম সরবরাহের কাজের চুক্তিপত্র জারি হয় গত ২৪ মার্চ। এরপর ২৯ মে ২০২৫ তারিখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে Notification of Award (NOA) প্রদান করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে সরঞ্জাম সরবরাহ করে এবং গত ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর শাখায় মালামাল হস্তান্তর করে।
কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও স্টোর শাখা এসব সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিতরণ করেনি। ফলে সরঞ্জামগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে—স্টোর শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার তৌসিক আহমেদ রাহাতের অবহেলা ও গড়িমসির কারণেই সরঞ্জাম বণ্টন হয়নি। শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, “এত টাকা ব্যয়ে সরঞ্জাম কেনা হলো, অথচ ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয়েছে। নষ্ট হলে এর দায় নেবে কে?”
স্টোরে যে সকল মালামাল ঢুকে তার হিসাবে ও গরমিল আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে কি পরিমাণ মালামাল আছে তারও কোন হিসাব স্টোর শাখা নেই।
তবে এ বিষয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার তৌসিক আহমেদ রাহাত দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়ে দোষ চাপান বণ্টন কমিটির ওপর। তিনি দাবি করেন, “এখানে আমার করার কিছু নেই, বণ্টন কমিটির গাফিলতির কারণেই এ সমস্যা।” বণ্টন কমিটির সভাপতির নামও উল্লেখ করেন তিনি।
বিভিন্ন অফিস স্টোর শাখায় এন্ট্রি করতে গেলে বিড়ম্বনা শিকার হয় এবং ঠিকাদারদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অনেকেই মনে করেন, স্টোর শাখার অবহেলাই এ সংকটের মূল কারণ। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ‘মনমতো কাজ করার সংস্কৃতি’ই এসব সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।
প্রশাসনের দাবি, সরঞ্জাম সঠিক সময়ে বিতরণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কার্যক্রমে গতি আসবে এবং বিভিন্ন দাপ্তরিক সংকটও কাটবে।