বরিশাল

বিসিসির মনগড়া নোটিশে আতঙ্ক, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও উচ্ছেদের শঙ্কায় ৪০ পরিবার সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি 11 October 2025 , 7:57:56 প্রিন্ট সংস্করণ

  • স্টাফ রিপোর্টার ::

বাড়ির প্ল্যান, হোল্ডিং ও জমির বৈধ দলিলপত্র থাকা সত্ত্বেও উচ্ছেদের ভয় পেয়ে দিশেহারা বরিশাল নগরীর ৪০টি পরিবার। অভিযোগ, কথিত খাল উদ্ধারের নামে বৈধ মালিকদের হয়রানি করছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)।
শনিবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিআইপি শাখা সড়কের এসব পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে তৈরি শেষ আশ্রয়টুকু এখন হারানোর আশঙ্কায় তারা দিন কাটাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো. মজিবর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিআইপি শাখা সড়কের জে.এল. ৫০ নম্বর বগুড়া আলেকান্দা মৌজার এস.এ. ১৩৬৪০ নম্বর খতিয়ানভুক্ত হাল ৬১৯০ দাগের জমিতে তারা বৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেছেন। সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত নকশা, হোল্ডিং নম্বর এবং ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর প্রাপ্ত অনাপত্তি সনদও রয়েছে তাদের কাছে।
তিনি বলেন, “এই জমি নিয়ে আদালতের একাধিক রায়ে আমাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৬ষ্ঠ মুন্সেফী আদালত ও ২য় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের রায় বহাল আছে। এমনকি হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং ২৬৪৩/২০২২ অনুযায়ী স্থিতিবস্থার আদেশও এখনো বলবৎ রয়েছে, যা চলতি বছরের ২৪ আগস্ট আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।”
এরপরও ২৯ সেপ্টেম্বর বিসিসি কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে নকশা ও কাগজপত্র চেয়ে নোটিশ পাঠায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ৬ অক্টোবর তারা সব নথি দাখিল করেছেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, একটি প্রভাবশালী মহল তাদের জমিকে ‘শোভা রানির খাল’ হিসেবে উপস্থাপন করে প্রশাসনের কাছে ভুল তথ্য দিয়েছে। এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর তারা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। কমিশনার সরেজমিন তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, “আমরা আইন মেনে বাড়ি করেছি। অধিকাংশই চাকরিজীবী বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এখন এসব ভেঙে দিলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে। আমরা সরকারের কাছে ন্যায্য সুরক্ষার দাবি জানাই।”
তারা বৈধ কাগজপত্র থাকা পরিবারগুলোকে হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যাদের নকশা অনুমোদিত নয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক বিসিসি, কিন্তু বৈধ মালিকদের যেন আর হয়রানি না করা হয়।”

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ