প্রতিনিধি 22 September 2025 , 6:58:40 প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার::
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দ্বিতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা শাখা থেকে গত ১০ জুলাই (২০২৫) প্রেরিত চিঠিতে সমন্বিত ফিজিবিলিটি সমীক্ষা সম্পন্নের তাগিদ দেওয়া হলেও প্রশাসনের অবহেলায় ২ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা আন্দোলনের পর উপাচার্যের আশ্বাসে মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপের ফলেই অবশেষে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের জন্য একজন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে সূত্র জানায়, পিডি নিয়োগের পরও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্নে বিলম্ব হওয়ায় কনসালটেন্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি সংবাদপত্রে প্রকাশ আটকে রয়েছে। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে ন্যূনতম ৪৫ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন।
এছাড়াও কনসালটেন্ট ফার্ম নিয়োগের পর ভূতাত্ত্বিক ও প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা (জিএসএ, এমএএসডব্লিউ, পিএস লগিং, কনসিডাডেশন টেস্ট, স্পেসিফিক গ্র্যাভেটি ডিটারমিনেশন) সম্পন্ন করে বুয়েটের অনুমোদিত ফলাফল সংগ্রহ করতে হবে। এরপর ফিজিবিলিটির আওতায় যে ভবনগুলো নির্মাণ হবে সেগুলোর ড্রয়িং–ডিজাইন করে প্রজেক্ট কমপ্লিটিশন রিপোর্ট (পিসিআর) তৈরি করতে আরও অন্তত ছয় মাসের বেশি সময় লাগবে। ফলে ২০২৬–২৭ অর্থবছরে নতুন বরাদ্দ পাওয়া কার্যত সম্ভব নয় বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে ৩ কোটি ৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার Integrated Feasibility Study Project for the 2nd Phase Development Project of Barisal University প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগ কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছিল। প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ জুলাই ২০২৫ সালে এবং শেষ হওয়ার কথা ৩০ জুন ২০২৬ সালে।
অনশনরত শিক্ষার্থীর বক্তব্য “আমরা আন্দোলন করেছি উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে। কিন্তু এত বিলম্বে বোঝা যাচ্ছে প্রশাসন আন্তরিক নয়। যদি এবারও বরাদ্দ না আসে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন আরও দীর্ঘ সময় পিছিয়ে যাবে। আমরা অনশন থেকে সরে যাব না।”
তবে এ বিষয় প্রকল্প পরিচালক ড. হাফিজ আশরাফুল বলেন:“আমি চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করতে। শিক্ষার্থীরা যদি পাশে থাকে, তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এ কাজে দুটি বিষয় দৃশ্যমান হবে—একটি হচ্ছে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা এবং অন্যটি হলো দুর্নীতিমুক্তভাবে কাজ সম্পন্ন করা।”