ক্যাম্পাস

বনী আমিনের বিতর্কে নীরব ববি প্রশাসন:তিন বছরে শুরু হয়নি তদন্ত কার্যক্রম

  প্রতিনিধি 1 October 2025 , 4:30:31 প্রিন্ট সংস্করণ

‎স্টাফ রিপোর্টার::

‎বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাবেক ইস্যু ক্লার্ক মোঃবনী আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দীর্ঘদিনেও নিষ্পত্তি হয়নি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, দাপ্তরিক কাজে অবহেলা, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ লিখিত আকারে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়লেও প্রায় তিন বছরেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‎লাইব্রেরিয়ান ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গাজী জহিরুল ইসলাম চতুর্থ বারের মত চলতি বছরের ১৯ মার্চ ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে বনী আমিনের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে লিখিত আবেদন করে ও  ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি, নেওয়া হয়নি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা; বরং তাকে বদলিজনিত পদায়ন দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রার দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।


‎বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,অনুমোদন ছাড়াই অফিসে অনুপস্থিত থাকা এবং হাজিরা খাতায় জাল সই করার মতো কর্মকাণ্ড তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে একাধিকবার। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণেও দেখা গেছে, তিনি নিয়মিতভাবে অফিসে দেরিতে আসেন এবং অনেক দিন পুরোপুরিই অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। তিন দফায় (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ও ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে ও  হাজিরা খাতায় জাল সই করা, অনুমোদনহীন অনুপস্থিত থাকা বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। যার  সিসিটিভি  ফুটেজ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সংরক্ষিত আছে।

‎এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, বনী আমিন নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং লাইব্রেরি সেবা গ্রহণে তাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও বেশি; কারণ, তার অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে তারা লাইব্রেরির কাজে তার কাছে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২০ সালে তিনি ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। এই বিষয়ে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

‎বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দিন জানান “আমরা তিনটা লিখিত অভিযোগ বর্ননা সহ উপাচার্য মহোদয়ের কাছে ফরোয়ার্ড করেছি, তিনি এ বিষয় করনীয় নিদের্শনা প্রদান করবেন।
‎শিক্ষার্থীদের এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করা হলেও ‘অদৃশ্য রাজনৈতিক প্রভাবের’ কারণে অভিযোগগুলো ফাইলবন্দি হয়েই পড়ে আছে।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ