বাকী বিল্লাহ
নিজস্ব প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় বোরো ধান রক্ষায় ইঁদুর নিধন অভিযান শুরু করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলার গোপালপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার ‘ইঁদুর দমন উদ্বুদ্ধকরণের জন্য মতবিনিময়‘ সভা থেকে এ ঘোষণা আসে বলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান।
বোরো ধান টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কৃষককের প্রধান ফসল। বোরো আবাদ শেষে ক্ষেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। কীটনাশক প্রয়োগ করে সেটি তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও ইঁদুরের উৎপাত থামানো যাচ্ছে না।
জানা যায় উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পাকুড়তিয়া বিল, পাটগাতী ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গার বিল ও গোপালপুর বিলসহ কয়েকটি বিলের ধান গাছের নিচের অংশ খেয়ে ফেলেছে ইঁদুর। ইঁদুরে কাটা গাছ মরে যাচ্ছে। ক্ষেতে বিষমাখা টোপ, আতপ চালের টোপ এবং ফাঁদ পেতেও কৃষকরা ইঁদুর নিধনে ব্যর্থ হচ্ছেন।
এ অবস্থায় ফসল রক্ষায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ইঁদুর দমনে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার পাশাপাশি মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছেন তারা। এছাড়া আগামী ১৩ এপ্রিলের এর মধ্যে ইঁদুর মেরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসে লেজ জমা দিলে লেজ প্রতি ১০ টাকা দেওয়ার ঘোষণাও এসেছে তাদের কাছ থেকে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান চলতি মৌসুমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬১ হাজার ৯২০ মেট্রিকটন ধরা হয়েছে। তিনি আরও বলেন চলতি বোরো মৌসুমে ইঁদুরের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ইঁদুর দমনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে মতবিনিময় সভা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছি। পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা ইঁদুর দমনের নতুন কৌশল জানাচ্ছি”।
“এছাড়া আগামী ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইঁদুর মেরে লেজ জমা দিলে প্রতিটি লেজের জন্য ১০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি। উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা লেজের হিসাব রাখবেন। এ টাকা ৩০ চৈত্রের পরে কৃষকের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”
এখন পর্যন্ত ইঁদুরের কারণে কত ধানের ক্ষতি করেছে? জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল বলেন, “সেটা এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন ।“