ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ( ভিবিডি) আয়োজনে বরিশালে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ ও সচেতনতা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ এপ্রিল ( সোমবার) বরিশাল জেলা ‘ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে’ উপলক্ষে ‘হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ ও সচেতনতা’ নামে একটি জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে এ এ সংগঠনটি ।
সম্প্রতি, গরমের তাপে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিটস্ট্রোক জনিত মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। এই জনসচেতনতামূলক অভিযানের মাধ্যমে মানুষেরা গরমের প্রভাবে নিজেদের সুরক্ষা করতে শিখছেন এবং লোকেরা গরমের প্রভাব এবং হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন।
ক্যাম্পেইনে সাধারণ জনগণের জন্য হিটস্ট্রোক প্রতিরোধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের জন্য আবশ্যিক পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্প্রচার করা হয়েছে, যাতে সকলের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিপন্নতা থেকে রক্ষা হতে পারে।
উক্ত ক্যাম্পেইন উপস্থিত ছিলেন ভিবিডি বরিশাল জেলার প্রেসিডেন্ট সুমন রহমান, জেনারেল সেক্রেটারি মাহাদি রহমান, হিউম্যান রিসোর্স অফিসার রিংকু হোসেন এবং ভিবিডি বরিশাল জেলার কমিটি মেম্বারসহ সাধারণ সদস্যগণ।
প্রেসিডেন্ট সুমন রহমান বলেন, “আজকে ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে উপলক্ষে আমরা হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ ও সচেতনতা মূলক যে ক্যাম্পেইন করেছি এ-র মাধ্যমে আমরা সাধারণ জনগণকে হিটস্ট্রোক সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি, এ-র লক্ষ্মণ কিংবা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি। ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমরা এ-ই হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ নিয়ে আরও বড় ধরনের ক্যাম্পেইন করে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করবো।”
হিউম্যান রিসোর্স অফিসার রিংকু হোসেন বলেন, “এ-ই যে তীব্র গরমের মধ্যেও ভলান্টিয়ার রা জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য বাহিরে এসে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে এ-র মধ্য দিয়েই উক্ত ক্যাম্পেইন টি সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমরা চেষ্টা করেছি বর্তমানে এ-ই মারাত্মক ব্যধি টি সম্পর্কে জনগণের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে এবং আমরা সেটাই করেছি। এছাড়াও আমি সবাইকে আহবান করবো নিজের বাড়ির আঙিনায় একটি হলেও গাছ রোপণ করবো এবং সঠিক ভাবে পরিচর্যা করবো তবেই আমরা এ-ই উত্তাপ থেকে রক্ষা পাবো।”
ভাইস প্রেসিডেন্ট যশ দে বলেন, “মানুষকে হিটস্ট্রোক সম্পর্কে সচেতন করে তোলাই এই ইভেন্টের মূল লক্ষ্য। বর্তমান সময়ে তীব্র তাপদাহে পরিস্থিতি এখন খুবই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আর এই সময়েই হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। আর এই কারনে এই ইভেন্টটির মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি মানুষেদের জানানো যে হিটস্ট্রোক কেন হতে পারে, এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার। যাতে করে কেউ এর শিকার হলে ঘাবরে না গিয়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে এবং এর সম্পর্কে আগাম সচেতন থাকতে পারে।”