‘ভূমি, ভাষা ও জীবন’ এবং ‘প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ভালো থাকা’ এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে মানুষের সার্বিক সুস্থতা পরিচর্যার চেতনা প্রসারের লক্ষ্যে ইনোভেশন ফর ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজন করেছে দুই দিন ব্যাপী ওয়েলবিং সামিট কর্মশালা।
শুক্রবার ( ৮ মার্চ) সকাল ১০ টায় বাংলা একাডেমিতে এ অনুষ্ঠান উদ্ভোদন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা।এ সময় তিনি বলেন বাংলাদেশে প্রথম এমন একটি উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে যেখানে সকল বয়সের নারী-পুরুষ-শিশুদের ভালো থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে একটি দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
গেস্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের
পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ অভ্র দাস ভৌমিক।
গেস্ট অব অনার এর বক্তব্যের পরই অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো সুস্থতার ক্ষেত্রে নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা,শরীর, মন এবং আত্মা নিয়ে আলোচনা, সংগ্রামেই শক্তি, সামাজিক ও আবেগীয় শিক্ষন নিয়ে চায়ের আড্ডা,ক্র্যাফটিং, জীবন শিল্পের উপর থেরাপিউটিক কার্যক্রম,আলোকচিত্র প্রদর্শনি
এবং মাটি নিয়ে খেলা।
ঝ
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শুরু হবে গল্প বলার মাধ্যমে এর পর চায়ের আড্ডা: সন্তানের সুষ্ঠু প্রতিপালনে বাবা-মায়ের দক্ষতা, ভালো থাকার সাথে খাদ্যের সম্পর্ক।শোক আমার শক্তি, রংএর আলোর উপর
থেরাপিউটিক কর্মশালা,চায়ের আড্ডার মাধ্যমে দমের সাথি- একা কিন্তু একা নই খেলা,শিথীলায়ন
,রিল্যাক্সেশন,মাটি নিয়ে খেলা,আলোকচিত্র প্রদর্শনি
সব শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে সকলের মন কেড়েছেন টুনটুন সাহা ফকির বাউল সঙ্গিত।
দুই দিন ব্যাপী এই কর্মশালাটিতে যারা সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন তাদের নিজেদের ভালো থাকা এবং তাদের কর্মক্ষেত্রে যাতে করে তাঁরা সার্বিক ভালো থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন তার জন্য এ কার্যক্রম।
বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে প্রথম আঞ্চলিক ওয়েলবিং সামিট এর আয়োজন করেছে যা দ্যা ওয়েলবিং সামিট ঢাকা নামে পরিচিত। এটি বাস্তবায়ন করছে ইনোভেশন ফর ওয়েলবিং ফাউন্ডেশন। সহযোগিতা করেছে ফ্রান্স-ভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য ও ওয়েলবিং বিষয়ক প্রতিষ্ঠান দ্য ওয়েলবিং প্রজেক্ট এবং ব্রাক ইন্সটিটিউট ফর এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, হিরোস ফর অল এবং ম্যাপ ফটো এজেন্সি লিবার্টি এবং ফোর এম টিভি (ইউ এস এ)
এ সম্মেলনটি মানসিক সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সামাজিক অগ্রগতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে। এই আয়োজনটি সেই সব পরিবর্তনকামী মানুষদেরকে একত্র করবে যারা সমাজ পরিবর্তনে অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে সকলের প্রত্যাশা ছিলো ‘নিজে ভালো থাকলে- ভালো কাজ করা যায়’ এই ইতিবাচক বার্তাকে উপজীব্য করে সাজানো হয়েছিলো এ অনুষ্ঠান । মানসিক স্বাস্থ্য ও ট্রমা মোকাবেলা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, স্টোরিটেলিং, অন্তদৃষ্টি পূর্ন আলোচনা, থেরাপিউটিক কার্যক্রম, বিকল্প পদ্ধতিতে নিরাময়, আত্মার সাথে সম্পর্কিত শিল্প-সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে নিজেদের ভেতরে ইতিবাচক ও আনন্দদায়ক অনুভূতি তৈরির মাধ্যমে ভালো কাজ ও আচরণকে উৎসাহিত করার প্রয়াসকে তুলে ধরা হয়েছে।